হুমায়ুন আহমেদের কিছু চমৎকার বানী
- মোঃশাওন পারভেজ ০৪-০৫-২০২৪

১) "পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ংকর অত্যাচার। কারণ, এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনোই কিছু বলা যায় না। সহ্য করে নিতে হয়।"
২) "একজন মানুষ নাকি সারা জীবনে সাতবারের বেশি বিস্ময়ে অভিভূত হতে পারে না। এই সাতবারের মধ্যে একবার জন্মের পর পৃথিবী দেখে বিস্ময়ে অভিভূত হয়। একবার হয় মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে। এই দুইবারের স্মৃতি কোনো কাজে আসে না। বাকি থাকে পাঁচ।" - (হিমু এবং হার্ভার্ড Ph.D বল্টু ভাই)
৩) "আবেগীয় যুক্তি অনেকাংশে সত্য এবং মিথ্যাময়। নিজের কাছে তা শতভাগ সত্য, কিন্তু অপরের কাছে তা সত্যও মনে হতে পারে অথবা মিথ্যাও মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবতার যুক্তি সার্বভৌম সত্য। নিজের কাছে যেমন এর রূপ সত্য, অপরের কাছেও রূপটা একই।"
৪) "প্রতিটি মানুষের জীবনেই কষ্ট আছে শুধু তা প্রকাশ করার পদ্ধতি ভিন্ন। নির্বোধরা প্রকাশ করে চোখের পানি দিয়ে আর বুদ্ধিমানরা মৃদু হাসি দিয়ে।"
৫) "মানুষের মন বুঝা পৃথিবীর কঠিনতম বিষয় গুলোর মধ্য অন্যতম। কিন্তু এই কঠিনতম বিষয়টি মাঝে মাঝে আমার কাছে সব থেকে সহজতম বিষয়ে পরিনত হয়। আর এই সহজ বিষয়টি আমার কাছে আকাশসম কষ্ট নিয়ে আবির্ভূত হয়।"
৬) "অহংকার নামক বিষের এক ফোঁটা আমার মধ্যে আছে! আমি এখনও এই বিষের উৎসের সন্ধান পাইনি। তবে কিছু কিছু সময়ে আমি এই তীব্র বিষের তেজে নীল হয়ে গেছি। হিমু আইনে নিশ্চয়ই এটা দণ্ডনীয় অপরাধ। আমি অপরাধী, তবে আমি এর থেকে বের হবার চষ্টা করছি। আমি সফল হবার পথে।"
৭) "প্রায় সময়ই প্রয়োজনীয় কাজের সময় অপ্রয়োজনীয় বাধা পরে। এই ধরনের সমস্যার ব্যাপারে কিন্ত একটা সূত্রও আছে । মার্ফির সূত্র! সূত্র টা এরকম -
'কোন কিছুতে ভুল হবার সুযোগ থাকলে সেটা হবেই', কিংবা 'অসুবিধা ঘটানোর সুযোগ থাকলে ঘটনা সে দিকেই গড়াবে'। সূত্রটা অতীব সত্য..."
৮) “তোমার সাথে যদি কোনো বাঘের সাক্ষাৎ হয়, তুমি যদি বাঘের চোখের দিকে তাকাও, আর বাঘ যদি তোমার চোখের দিকে তাকায়, তাহলে বাঘ তোমার উপর ঝাঁপ দিয়ে পড়বে না। চক্ষুলজ্জা পশুর আছে। মানুষের নাই।“
৯) "ভালবাসার মানুষদের খুব কাছে কখনও যেতে নেই।" (ময়ুরাক্ষী)
১০) "হারিয়ে যাওয়া সব সময়ই আনন্দময়, সেটা হোক পথ ভূল করে হারিয়ে যাওয়া অথবা পরিচিত সব মানুষের ভীরে নিজেকে হঠাৎ হারিয়ে ফেলা।"
১১) “বানানো দুঃখের গল্পে যে অশ্রু বর্ষণ করে সে প্রিয়জনদের দুঃখে কখনো অশ্রু বর্ষণ করবে না।”
১২) পৃথিবীতে আছে লাখ লাখ অপূর্ব সব বই। একজন মানুষ তার জীবদ্দশায় বইয়ের অতি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশই পড়তে পারে। ষাট বছর যার আয়ু, সে যদি জন্মের দিন থেকেই প্রতিদিন একটা করে বই শেষ করে, তাহলে ষাট বছরে সে পড়বে মাত্র একুশ হাজার ছয় শ বই। আমার হিসাবে কোনো বুভুক্ষু সর্বগ্রাসী পাঠকেরও এক জীবনে দশ হাজার বই পড়া সম্ভব নয়। তারাশঙ্করের কবি উপন্যাসের নায়কের মতো বলতে ইচ্ছে করে, ‘জীবন এত ছোট কেন?’
১৩) "মনের তীব্র ব্যাথা কমানোর একটি উপায় হচ্ছে কিছু লেখা। যে লেখা ব্যক্তিগত দুঃখকে ছড়িয়ে দেয় সবদিকে।" (আমার ছেলেবেলা)
১৪) "এ জগতে সবচে' সুখী হচ্ছে সে, যে কিছুই জানে না। জগতের প্যাঁচ বেশি বুঝলেই জীবন জটিল হয়ে যায়।"
১৫) "তুমি আমার জন্যে দু'ফোটা চোখের জল ফেলেছ তার প্রতিদানে আমি জনম জনম কাঁদিব" (তেতুল বনে জোছনা)

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।